১৮জুন ২০২৩ (রাত্রি)
নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গ যেন নিজের বশীভূত করে ফেলেছে ভারী বৃষ্টিকে। রোজই ভারী বৃষ্টির কবলে পড়ছে উত্তরবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল। এদিকে দক্ষিণবঙ্গ পচে মরছে ভ্যাপসা গরমে। বিগত দিনগুলোতে উত্তরবঙ্গের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলে ঘর্মাক্ত ও ভীষণ কষ্টকর জ্বালাময় ভ্যাপসা গরম অনুভব হচ্ছিল। উত্তরবঙ্গের নিম্নচাপ অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের উপর থেকে সমস্ত জলীয় বাষ্প পূর্ণ আদ্র বাতাস টেনে নিচ্ছিল। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির মূল খাবার যাচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে। তাই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি পেতে গেলে যে ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরম সহ্য করতে হয় সেটা পুরোটাই সহ্য করছিল দক্ষিণবঙ্গ আর উত্তরবঙ্গ বিন্দাস প্রতিদিন একের পর এক শক্তিশালী বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি পেয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু খেলাটা ঘুরে যায় ১৭ই জুন ২০২৩ থেকে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা আর সেই নিম্নচাপ অক্ষরেখায় ভর করে শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি। সাথে প্রচণ্ড বজ্রপাত। এদিকে বর্ষা প্রবেশের পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠছে দক্ষিণবঙ্গে। বর্ষা প্রবেশের শুরুতে বৃষ্টি কেমন হবে এবিষয়ে ওয়েদার অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের অন্যতম আবহাওয়া বিশ্লেষক সৌমদীপ পুততুণ্ডের মতে দক্ষিণবঙ্গে এখন নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ অক্ষরেখায় ভর করে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প পূর্ণ আদ্র বাতাস প্রবেশ করছে দক্ষিণবঙ্গে। যারজন্য আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও ঝড়বৃষ্টি হবে ভোর ও সকালের দিকে আবার কোথাও বিকাল ও রাতের দিকে অর্থাৎ সবসময় কমবেশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ জুন ও তারপর থেকে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। বর্ষা প্রবেশের সময় ও পরে ভালই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।
No comments:
Post a Comment