৬ মার্চ ২০২৩
নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০২২ সালেও মার্চের প্রথম সপ্তাহে দমকা দখিনা বাতাসে উড়ে যাচ্ছিল সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ সাথে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে দাপিয়ে ঝড়বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে দেখা মিলেছিল বিক্ষিপ্ত ভাবে ইতস্তত ঝড়বৃষ্টি। কিন্তু ২০২৩ সালের মার্চ মাস পড়া থেকে জ্বলতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গ। মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে মৃদু আরামদায়ক পরিবেশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপে জ্বলে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ। পরিমণ্ডলে শুষ্কতা থাকায় গরম ছাওয়াতে কম অনুভব হচ্ছে কিন্তু যারা রোদের নীচে যাচ্ছে তারা বুঝে যাচ্ছে গরম কাকে বলে। রোদের নীচে দাঁড়ালে মাথা ঘুরিয়ে ফেলে দেওয়ার অনুভূতি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ও দুপুরের দিকে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গৃহীত তথ্য অনুযায়ী ৫ মার্চ ২০২৩ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৯°সে অর্থাৎ প্রায় ৪০°সে। কিন্তু কেন এতটা গরম অনুভব হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে? দক্ষিণবঙ্গের উপর যে বাতাস প্রবেশ করছে তা শুষ্ক উত্তর পশ্চিমা বাতাস। এই বাতাস স্থলভাগের উপর দিয়ে বয়ে আসছে যা জলীয় বাষ্প নিয়ে আসছে না। তার জন্য শুষ্ক অনুভূতি বাড়ছে। জলীয় বাষ্প না থাকার জন্য সূর্যের তাপ প্রখর হচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে যাচ্ছে ৩৫-৩৭°সে এর আশেপাশে। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮-৩৯°সে রেকর্ড হচ্ছে। অন্যদিকে এই শুষ্ক বাতাস বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করছে না। বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় গরমে জ্বলে পুড়ে ছারখার হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ। অন্যদিকে পরিমণ্ডলে শুষ্কতা বেশি থাকার জন্য সূর্যাস্তের পর তাপ বিকিরণ বেশি হচ্ছে যার জন্য তাপ ছেড়ে দেওয়ার জন্য মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে আরামদায়ক আবহাওয়া অনুভব হচ্ছে। কিন্তু অন্য বছর এমন থাকে না। একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় সক্রিয় হয়ে ওঠে যার জন্য ঘূর্ণাবর্ত ও সম্মিলন অঞ্চল তৈরি হয়। ও ঝড়বৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। ২০২৩ সালে শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তেমন না আসায় ও উচ্চচাপ বলয় সক্রিয় না হবার জন্য শুষ্ক উত্তর পশ্চিমা বাতাস প্রবেশ করছে যার জন্য বৃষ্টিহীন শুষ্ক দাবদাহ অনুভব হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।
No comments:
Post a Comment